খুলনায় সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন দৌড়ে একডজন নেত্রী 

খুলনা ব্যুরো 

খুলনা ও বাগেরহাট জেলা মিলে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-১১’র সংসদ সদস্য পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে একডজনেরও বেশি নেত্রীর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিনের বোন ও যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত শহীদ ইকবাল বিথারের সহধর্মিনী অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল বিথার। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান মহিলা সংসদ সদস্য এড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবংখুলনা-৩ আসনের  সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানও। 

এর বাইরেও আলোচনায় আরও ১০ নেত্রীর নাম শোনা যাচ্ছে। নারী সংসদ সদস্য প্রার্থীদের অনেকেই লবিংয়ের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকায় যোগাযোগ রাখছেন। দলের একাধিক নেত্রীর সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সম্ভাব্য সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য প্রার্থী নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও গুঞ্জণ চলছে। 

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত ৯ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশের পর ১০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন সংসদ সদস্যবৃন্দ, পরদিন শপথ নেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা।

আইন অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই এবার সংসদের সংরক্ষিত আসন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের মধ্যে খুলনা ও বাগেরহাট এ দুই জেলা মিলে আসন নম্বর-১১। এ আসনে প্রবীণদের পাশাপাশি রয়েছেন নবীন নারী নেত্রীরাও। তবে সব ছাপিয়ে জোর আলোচনায় রয়েছেন অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল বিথার। তিনি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত শহীদ ইকবাল বিথারের সহধর্মিনী ও সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিনের বোন। তবে প্রার্থী হবেন বর্তমান নারী সংসদ সদস্য এড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারও।
অন্যদিকে, খুলনা-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানও যদি সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত হন তবুও হবাক হবেন না দলটির নেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, খুলনা-বাগেরহাট অঞ্চলের সংরক্ষিত আসন থেকে কে হচ্ছেন নারী সংসদ সদস্য তা নিয়ে জোরালো আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে আ’লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে রয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই সম্ভাব্য নারী সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নজর এখন সেদিকেই। 
দলীয় নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল বিথার, এড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার ও বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন চিতলমারী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কালিদাশ বড়ালের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হ্যাপী বড়াল ও নূর আফরোজ আলী, নগর আ’লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. অলোকা নন্দা দাস, নগর আ’লীগের সদস্য এড. সুলতানা রহমান শিল্পী, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আফসানা হাসান ডেইজী, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আফসানা ফেরদৌস কেকা, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. সেলিনা পিয়া, জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জলি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আফরোজা জেসমিন বিথী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি চৈতালী হালদার চৈতী।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথের রাজনীতিতে আছেন। পরীক্ষিত নেত্রীদের বিষয়ে দল মূল্যায়ন করলে তারা মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। 
বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, আর জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা খুলনা বিভাগে জয়লাভ করতে পারেনি। তাই ক্ষমতাসীন আ’লীগের মনোনীত প্রার্থীই সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন-এটা নিশ্চিত

You may have missed