খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে আরও ৯৮৭টি পরিবার

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে আরও ৯৮৭টি পরিবার

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে আরও ৯৮৭টি পরিবার

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে আরও ৯৮৭টি পরিবার

# জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা 

‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে খুলনা জেলায় চতুর্থ পর্যায়ের (দ্বিতীয় ধাপে) আরো ৯৮৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে। আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। সোমবার দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন তার সম্মেলনকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে রূপসা উপজেলায় ১০০টি, তেরখাদা উপজেলায় ১৮৬টি, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১২০টি, পাইকগাছা উপজেলায় ৬৮টি, দাকোপ উপজেলায় ৪২টি, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২৫০টি, দিঘলিয়া উপজেলায় ৬৬টি, কয়রা উপজেলায় ১০০টি ও ফুলতলা উপজেলায় ৫৫টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তেরখাদা উপজেলার ‘বারাসাত সোনার বাংলা পল্লিতে সরাসরি সংযুক্ত হবেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ক শ্রেণির পরিবার যার জমি ও ঘর কিছুই নেই- এমন ভূমিহীন-গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র পরিবার এবং খ শ্রেণির পরিবার যার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ জমির সংস্থান আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার। ক শ্রেণির পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিষ্কণ্টক খাস জমি, সরকারিভাবে কেনা জমি, সরকারের অনুকূলে কারো দানকৃত জমি অথবা রিজিউমকৃত জমিতে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ২শতক জমিসহ সেমিপাকা একক গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। খাস জমির সংস্থান না থাকায় পাইকগাছা উপজেলায় ৫.০৩ একর, দিঘলিয়া উপজেলায় ২.৪১৮ একর, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২.০০ একর, ফুলতলা উপজেলায় ৪.১২ একর এবং রূপসা উপজেলায় ০.২৪ একর এবং কয়রা উপজেলা ১.৫০ একরসহ মোট ১৫.৪৪৯ একর জমি ক্রয়পূর্বক ৫৯২টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।

প্রেসিেব্রফিংয়ে আরো জানানো হয়, খুলনা জেলার মোট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৫হাজার ৫২৯টি। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ৩৫১টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৯০৬টি পরিবারের মাঝে জমির মালিকানাসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। চলমান চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত গৃহের সংখ্যা ১ হাজার ৮১৯টি। ইতিমধ্যে চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫৭টি গৃহ হস্তান্তর করেছেন। এছাড়া আগামীকাল বুধবার চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে  ৯৮৭টি গৃহ হস্তান্তরসহ খুলনা জেলায় ৫ হাজার ৭৮টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসিত হবে। বর্তমানে নির্মাণাধী ৭৫টি গৃহে ভূমিহীন-গৃহহীন পুনর্বাসনের পর খুলনা জেলায় অবশিষ্ট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার থাকবে ৩৭৬টি। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত ব্যারাকে তেরখাদা উপজেলায় ৩০টি, পাইকগাছা উপজেলায় ৭৩টি ও দাকোপ উপজেলায় ৫০টিসহ ১৫৩টি এবং খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য কর্তৃক দাকোপ উপজেলায় দুইটি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মুনিম লিংকন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র, কেএমপির খালিশপুর জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোপীনাথ কানজিলাল, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবীর প্রমুখ।