খুলনায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
খুলনায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যক্তিগত সফরে আজ শুক্রবার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে খুলনার দিঘলিয়ায় এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় আসার তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে নগরীর আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছান ৩টা ৪৭ মিনিটে। পরে ভৈরব নদের ফেরি পার হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তাঁর মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন স্থলে পৌঁছান। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার গোয়েন্দা ইউনিটগুলোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে গোটা এলাকা। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় আসেন।
মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোটবোন শেখ রেহানা সফরসঙ্গী হয়ে রয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপিসহ পরিবারের সদস্যরা। ব্যক্তিগত সফর হওয়ায় আওয়ামী লীগের কোনো নেতার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কোনো সুযোগ নেই। সে কারণে সেখানে তারা যেতে পারেননি। তবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি প্রধানমন্ত্রীর মায়ের জায়গাটি দেখভাল করার কারণে তিনি সেখানে রয়েছেন। তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফিরে যাওয়ার সময় নগরীর শেখপাড়ায় তার চাচা শহিদ শেখ আবু নাসেরের বাড়ি ঘুরে যাবেন।
বাবুল রানা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় একটি জমি কেনা ছিল। জমির ওপর পাট গোডাউন ছিল। নেত্রী দীর্ঘদিন সেখানে আসেননি। তবে ১৯৮২ সালে তিনি একবার এসেছিলেন।
পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোটভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন।
বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এ জমির মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউজ। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের নামে।