খুলনায় ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যগ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার
খুলনায় ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যগ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার
খুলনায় ডাকাতচক্রের ৬ সদস্য
গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
খুলনায় দুর্ধর্ষ ডাকাতচক্রের ৬ সদস্যকে ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ডাকাতদলের কাছ থেকে সোনার চেইন ও লকেটসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ মে নগরীর লবণচরা থানার খুলনা বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন স্বপ্নপুরী আবাসিক এলাকার একটি বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ ঘটনার পর পুলিশ ডাকাতচক্রের সদস্যদের আটক করতে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। একপর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ বুধবার রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন আসামি নগরীর হাজী মুহসীন রোডের বাসিন্দা ফারুকের ছেলে মিরাজ ওরফে স্পিকার মিরাজকে (৩৫) নগরীর করিমনগর এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একটি ২২ ক্যারেটের সোনার চেইন, একটি ২১ ক্যারেটের সোনার লকেট, একটি ২২ ক্যারেটের সোনার হার, ২ ভরি ১৫ আনা ওজনের সোনার বালা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ ডাকাতির লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। এর পর মিরাজের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত দলের সর্দার নগরীর রূপসা স্ট্র্যান্ড রোড এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে মো. জাকির হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়। পরে জাকিরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লুণ্ঠিত ডাকাতির মালামাল ক্রয়কারী নগরীর শেখপাড়া খলিল চেম্বারের মোড় এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন বুলুকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১ ভরি ৮ জানা ওজনের গলিত সোনা উদ্ধার করা হয়। এরপর ডাকাত দলের সদস্য বাগেরহাটের মোংলার বাসিন্দা মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ ওরফে মোংলা কালামকে (৩৭) এবং রূপসা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত আকবর আলী শেখের ছেলে আব্দুর রহমান বাপ্পি ওরফে কলম বাপ্পিকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে নগরীর লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মালামালসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো হাসুয়া, একটি রেঞ্জ ও একটি স্টার স্ক্রু ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতার আসামিরাসহ তাদের সহযোগিরা খুলনা, বাগেরহাট, টাঙ্গাইল, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করে থাকে। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।