খুলনায় গাভী পালনে সফল  শফিকুল ইসলাম

খুলনায় গাভী পালনে সফল  শফিকুল ইসলাম

খুলনায় গাভী পালনে সফল  শফিকুল ইসলামখুলনায় গাভী পালনে সফল  শফিকুল ইসলাম

খুলনায় গাভী পালনে সফল  শফিকুল ইসলাম

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, খুলনা

উন্নত জাতের গাভী পালন করে সফল হয়েছেন খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের এস এম শফিকুল ইসলাম। তার আমিন ডেইরি ফার্মে বর্তমানে দুধ উৎপাদন করা হচ্ছে। 

সরেজমিনে পানখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পানখালী গ্রামে তাঁর  গরুর ফার্ম পরিদর্শন কালে শফিকুল জানান, পিতার মৃত্যুর পর শুধু ভিটা মাটি সম্বল অবস্থায় নিদারুণ আর্থিক সংকাটে দিন কাঠাচ্ছিলাম। আয়ের থেকে ব্যয় বেশী হওয়ায় কারনে দিনে দিনেই দেনার অংক বেড়ে যেতে লাগলো। এ অবস্থায় উপায়অন্ত না পেয়ে স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে ১৯১৭ সালে একটি উন্নত জাতের গাভী ধার দেনা করে ক্রয় করি। উপজেলা প্রাণি সম্পদ আফিসের পরামর্শ মতে গাভীটি পরিচর্যা করতে শুরু করি। তার পর থেকে শফিকুলের ডেইরি ফার্মে বাছুর ও দুধ উৎপাদন বাড়তে থাকে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ১৭ টি গরু থেকে ১০টি ছোট, বড়, গরু বিক্রি করি। গরু বিক্রি করা টাকা দিয়ে প্রৈত্রিক ভিটায় একটি বড় পাকা ঘর নির্মানের কাজ শুরু করি। পারিবাকি সূত্রে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম ইতিপূর্বে ৪ (চার) বিঘা ধানের জমি বন্ধক রেখেছেন। এ ছাড়াও চালনা পৌরসভা সদরে তাঁর একটি চালের বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।বতমানে তার ফার্মে ৭টি গরু আছে। ৩টি গাভী দুধ দিচ্ছে। প্রতিদিন ৩৮/৪০ কেজি দুধ বিক্রি হচ্ছে তার ফার্ম থেকে।

শফিকুল আরোও বলেন, বর্তমান দুধের দাম একটু কম, কিন্তু গো-খাদ্যের দাম আনেক বেশী। পূর্বে সাতটি গরুর খাদ্যের জন্য দৈনিক ব্যয় ছিলো ৭ শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১২ শ’ থেকে ১৫ শ’ টাকায়। তিনি বলেন, সরকারি আর্থিক সহায়তা পেলে ফার্মে গরুর সংখ্যা বাড়াবেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বঙ্কিম কুমার হালদার বলেন, শফিকুল ইসলাম নিয়মিত উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ রাখেন এবং আমাদের পরামর্শ নিয়ে লাভজনক একটি ডেইরি ফার্ম তৈরী করেছেন। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ।