খুলনায় এমপি সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পর্কে কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ
# আ’লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
খুলনা ব্যুরো
খুলনা-৪ আসনের (রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা) সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পর্কে কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য প্রদান এবং হুমকি-ধামকি প্রদানের অভিযোগ করেছেন রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বাদশা।
সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বলেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক হুইপ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্তজা রশিদী দারা কাটিং ভোটের প্রায় ৪২ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬১ হাজার ভোট পান। নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম মূর্শেদী ভোটের ফলাফলে বিজয়ী ঘোষিত হন। বিজয়ী ঘোষণার পর পরই এমপি সালাম মূর্শেদীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে খুলনা-৪ আসনের বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অত্যাচার, নির্যাতন, রক্তাক্ত জখম এবং তাদের সম্পদ ও ব্যবসা লুট ও দখল করা হয়।
কামাল উদ্দিন বাদশা বলেন, এমপি সালাম মূর্শেদী গত ১৫ ফেব্রুয়রি খুলনায় আসেন এবং খুলনা-৪ আসনের রূপসা, তেরখাদা এবং দিঘলিয়া উপজেলাব্যাপী বিভিন্ন ইউনিয়নে গত ১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার অনুসারীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় তিনি প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় হুমকি দিয়েছেন। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের নেতাদের দলীয় পদপদবী খেয়ে ফেলার হুমকি ও তাদের সালাম দিতেও জনগণকে নিষেধ করেছেন। এছাড়া তিনি ক্ষমতা ও দায়িত্বের এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন। এমপি সালাম মুর্শেদী উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মীরজাফর, কুকুর! ইত্যাদি বলে গালি দিয়েছেন। তিনি আমাকেও (রূপসা উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান) প্রকাশ্য সভায় রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমপির এ ধরনের উক্তি স্বাধীনতার মহান সৈনিকদের শুধু অপমানিত করেনি, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেও বিতর্কিত করেছেন। মূলত তার অতীতের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে তিনি স্বাধীনতার বিপক্ষের একজন মানুষ। বর্তমানে রূপসা উপজেলার আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ অধিকাংশ নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান করায় ২০০১ সালের পরে বিএনপি- জামায়াত যেভাবে নির্যাতন করেছিল বর্তমানে তারা সে ধরনের নির্যাতনের সম্মুখিন হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে আব্দুস সালাম মূর্শেদীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
#