খুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহন চলাচল ব্যাহত
খুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহন চলাচল ব্যাহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
ট্রাক চালক কর্তৃক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রেখেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নগরীর গল্লামারী মোড়ে এ মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যানবাহন চলাচল চরমভাবে বাহত হয়। তবে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলে পুনরায় এ সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাফায়েত সাগর নামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রকে ট্রাক চালক কর্তৃক মারধরের অভিযোগ ওঠে। মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর দিকে ট্রাকচালক ট্রাক চাপিয়ে দেওয়ায় কথা বলতে গেলে উভয়ের মধ্যে বাকবিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে ট্রাকচালক ও তার সহযোগী মিলে ঐ ছাত্রকে মারধর করে। এমনকি তাদের আঘাতে ঐ ছাত্রের নাক ফেটে যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, মারধরের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হলে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলার হুমকি দেওয়া দেন।
এদিকে, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নগরীর গল্লামারী মোড়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও মারধরকারীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।
অবরোধকারী ছাত্ররা এ সময় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করা দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা না হলে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক শরীফ হাসান লিমন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসে ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে কেএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের আশ্বাসে দুপুর সাড়ে তিনটায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী অবরোধ তুলে নেয়।
এ ব্যাপারে কেএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করা দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।