খুকৃবির শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি অব্যাহত, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, ডিন অফিসে তালা

খুলনা ব্যুরো
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, ৩৯জন শিক্ষকের প্রমোশন নিশ্চিতকরণ ও তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের দাবিতে একাডেমিক, ডিন ও বিভাগীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। 

সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলাকালে তারা কার্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম।
ড. মো. আশিকুল আলম বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুণর্মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জন শিক্ষকের ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। এ সমস্যার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১১ মাস স্থগিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন প্রভাষকের পদোন্নয়ন।

খুকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান জানান, কয়েকজন ব্যক্তি এ জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের ৩৯ শিক্ষকের পদোন্নয়ন হচ্ছে না এ জটিলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের এ সমস্যাটা আমলে নিচ্ছেন না। প্রয়োজনে আগামীতে প্রশাসনভবনে তালা ঝুলানোসহ আমরণ অনশন কর্মসুচি দিতে বাধ্য হবো।  

এর আগে  ৮ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সোমবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার দ্রুত সমাধানের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক সমিতি। অবিলম্বে ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ জন শিক্ষকের প্রমোশন নিশ্চিত করা ও তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকবৃন্দরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যা পরে একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পূণর্মূল্যায়ন করা হয়।