কোটচাঁদপুরে বাঁশের সাঁকো ভেঙে ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল যাওয়া বন্ধ

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,
খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ
কোটচাঁদপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোর মধ্যে তালসার, কামারকুন্ডু, আন্দোলপোতা, জনবহুল গ্রাম।ঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোর মধ্যে , সুতি, দুর্গাপুর হাজীডাঙ্গা,ঝিনাইদহ সদর এই গ্রাম গুলো থেকে ২২ থেকে ২৫ কিঃ মিঃ দূরত্ব। এই ঝিনাইদহ সদরের গ্রাম গুলো, কোটচাঁদপুর উপজেলা শহর ৫ থেকে ৭ কিঃমিঃ দূরত্ব। কোটচাঁদপুর উপজেলার দূরত্ব কম হওয়ায়,। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন।শিক্ষা গ্রহণ করতে আসেন, তালসার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ, দারুল আরকান মাদ্রাসা,হাফেজি মাদ্রাসা। নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করতে আসেন, তালসার বাজারে,।প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসেন তালসার স্বাস্হ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে।এই গ্রামের মানুষের নিকটস্থ হওয়ায় চলাচল বেশি। হাজারো মানুষ চলাচল করে, এলাকার মানুষের নিকট থেকে বাঁশ চেয়ে, বাঁশের সাঁকো বানিয়ে।ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়, ছাত্র ছাত্রী, কোমলমতি শিশু, ও বৃদ্ধদের। কৃষক, দিনমজুর ব্যবসায়ি মালামাল বিক্রির জন্য পারাপার হতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি তালসার বাজার ঘাটের চিত্রা নদীর উপর ব্রীজ তৈরী করে এলাকার মানুষের চলাচলের পথ সুগম করতে।যায় হোক কোন মতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে হচ্ছিল পারাপার।সেই বাঁশের সাঁকো গত কয়েক দিনের হালকা বৃষ্টিতে নদীর নব্যতা সংকটে পানির স্রোতে ধাপের বহরে ভেঙে যায়।এখন স্কুল কলেজ ও রোগী নিয়ে পড়েছেন মহা বিপদে। দীর্ঘদিনের বাঁশের সাঁকো স্হানে একটি ব্রীজের দাবিতে চেয়ে আছেন বর্তমান সরকারের দিকে।বহুবার একেক সরকার এই চিত্রাপাড়ের মানুষের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু বাস্তবায়ন হতে দেখেনি এলাকার মানুষ।দুর্দশা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষের কোন দৃষ্টি আসে না। এভাবেই কি যাবে চিত্রা পাড়ের মানুষের জীবন বৈচিত্র্য।
কথা হয় এলাকার মানুষের মধ্যে মোঃ আল আমিন আসাদুল করীম শাহিন বদিউজ্জামান রবিউল সবুজের সাথে। বলেন তালসার ঐতিহ্যবাহী বাজার ঘাটে বীজ হলে হাজারো মানুষ দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে।