কেন্দুয়া পৌরসভায় বাসাবাড়ি দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৮ জন

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টারঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় বাসাবাড়ি দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৮জন ।
১০ মে শনিবার দুপুরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার মধ্য সাউদপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে টেংগুরি (পশ্চিম পাড়া)র মোঃ সিরাজ মিয়ার বর্তমানে বসবাসরত সাউদপাড়াস্থ বাসা দখল করছে রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রফেসর আবুল হাশেমের ছেলে মুফতি ফাহিম বিল্লাহ ও তার গংরা ।
সরেজমিনে নিরপেক্ষ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়- মোঃ সিরাজ মিয়া উক্ত বাসা ভাড়া নিয়ে কিছুদিন ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকে, ভাড়াটিয়া হিসেবে থেকে মাসের পর মাস ভাড়ার টাকা নিয়ে ঘরিমসি শুরু করলে বাসা থেকে চলে যেতে বললে সিরাজ মিয়ার বড় ছেলে রিয়াদ হাসান কিনে নিয়েছে বলে অবৈধভাবে জায়গা সহ বাসা দখল করে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছিলেন। এছাড়াও আরেকটি পক্ষ (বাবুল) দখল করে আছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। কারও কাছে কোন স্বউত্তর না পেয়ে আগের মালিক কিছুদিন নিরব ভুমিকা পালন করছেন। পরে এ নিয়ে দখল সূত্রে রিয়াদ হাসান কোর্টে মামলা দায়ের করেন। তবে বিভিন্ন সময় দরবার শালিসির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হলেও সিরাজ মিয়া ও তার সন্তানরা জায়গা সহ বাসা ছাড়তে নারাজ। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে মোঃ সিরাজ মিয়াকে ৩দিনের মধ্যে বাসা খালি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিলেও বাসা না ছাড়ায় দখলে যেতে চায় মুফতি ফাহিম বিল্লাহ। তখন বাধা গ্রস্হ হয়ে মারামারির মত ঘটনা ঘটে।এদিকে বেআইনি দখলদার (বাবুল) তার দখলদারি ছেড়ে দিতে দেখা যায়। তার বিভিন্ন জিনিসপত্রাদি বাসা/ বাড়ি থেকে জিনিস পত্র নিতে দেখা যায়।
উক্ত মারামারিতে উভয় পক্ষের রনি, জনি,আবুল কাশেম,আলম, সুজন,মরিয়ম, নুরেচাসহ আহত ৮জন । তাদের কয়েকজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পঠানো হয়েছে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মুফতি ফাহিম বিল্লাহ বলেন- এই জায়গা আমার মা হোসনা ইয়াসমিনের নামে । আমরা সিরাজ মিয়ার কাছে ভাড়া দিয়েছিলাম । পরে তিনি সাদেক স্যারের ছেলে সাবেতের কাছ থেকে ভুয়া দলিল করে নেয় । যা সম্পূর্ণ অবৈধ । আর এতে সহযোগিতা করেন সাবেক পৌর মোঃ মেয়র আসাদুল হক ভূঞা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ । তিনি আরো বলেন- গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে মোঃ সিরাজ মিয়াকে ৩দিনের মধ্যে বাসা খালি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিলেও বাসা না ছাড়ায় সব নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে দখলে এসেছি ।
মোঃ সিরাজের ছেলে মোঃ রনি বলেন- আমরা কোন অবৈধ বা দখলবাজি করছি না। আমাদের বৈধ দলিলপত্রাদি রয়েছে । আমাদেরকে রক্তাক্ত করে দখল করতে চাইছে, আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন- ইতোমধ্যে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।