কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের এক নেতা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার পাঁয়তারা

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টারঃ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের এক নেতা
রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের পায়তারা চেষ্টা করছেন।

২৭ শে মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধায় নেত্রকোনা জেলার ঐতিহ্যবাহী কেন্দুয়া উপজেলার জেলা পরিষদ কেন্দুয়া হল রুমে ইফতার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের সহকারী মহাসচিব রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান। এই উপলক্ষে কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ মতিন রুমন একক ব্যাক্তি কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের নাম দিয়ে নিজের পরিচয়কে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার পাঁয়তারা করে।
স্হানীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়- উপজেলার কোন যুবদলের বড় মাপের নেতা ছিল না, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ মাইন উদ্দিন, সদস্য সচিব আতাউল হক মিন্টুসহ তার যুগ্ম আহ্বায়ক কেউ ছিলেননা। কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী গন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন। তাছাড়াও সেখানে কেন্দুয়া আটপাড়া গণমানুষের নেতা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ মাইন উদ্দিন এর সাথে কথা বলে জানা যায়- উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে আজ কোন ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন ছিল না। আজ জেলা পরিষদ হল রুমে যে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে তা এক ব্যক্তির। কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের প্রোগ্রাম হলে আমি এবং সদস্য সচিবকে নিয়ে হতো। আমি গন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ছিলাম।

কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এটা উপজেলা যুবদলের কোন প্রোগ্রাম নয়, তবে উক্ত অনুষ্ঠানে আমাকে যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ মতিন রুমন দাওয়াত দিয়ে ছিল। পরিস্থিতির জন্য আমি এ বিষয় মন্তব্য করতে চাই না।

বিভিন্ন গণমাধ্যমকে স্বরগরম করে নিউজ ঃ
উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইনের প্রতিবেদনে উপজেলা যুবদলের ইফতার ও দোয়া মাহফিলের বিষয় নিউজ করার স্বরগরম করে নিজে উপরে উঠার নামে নিউজ করেন।

উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক এর সাথে কথা বলে জানা যায়- কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের কোন প্রোগ্রাম হয়নি, আমি উক্ত উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমি এ বিষয় কিছু জানি না। আমাকে কেউ দাওয়াতও দেননি। যদি ইফতার ও দোয়া মাহফিল হয়ে থাকে তাহলে রুমন এর নেতা রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান বা তার নিজের হতে পারে।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর শহরের অনেক নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায় – এই রকম ব্যক্তিগত ইফতার ও দোয়া মাহফিল টাকা থাকলই যে কোন ব্যক্তিই করতে পারে, কিন্তু উপজেলা যুবদলের নাম দিয়ে দলকে ছোট করা কারো অধিকার নেই, আমরা এই রকম নেতাদের নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।

এক সংবাদ কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায় – এটা উপজেলা যুবদলের সভাপতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ছিল। সে নিজে পরিচালনা করেছেন। আমি গিয়ে ছিলাম,আমাকে যেভাবে বলেছেন আমি লিখতে চেষ্টা করেছি।

উল্লেখ্যঃ- কেন্দুয়া উপজেলার এক মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির নেতা রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসানের কেন্দুয়া উপজেলার মধ্যে দুই একটি ইফতার ও দোয়া মাহফিলের পর কেন্দুয়া উপজেলা সদর পৌর শহরে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন ছিল এই অনুষ্ঠান।
উক্ত অনুষ্ঠানে সারা উপজেলায় চিহ্নিত কোন বিএনপি ও তার কোন অংগ সংগঠনের দলীয় পদধারী নেতা উপস্থিত ছিলেন না,শুধু উপজেলার কিছু ক্লাবের সাংবাদিক ও সুশীলসমাজের লোকদেরকে দেখা যায়।