কেন্দুয়ার (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার এর বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা অপপ্রচারের প্রতি

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টারঃ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও সাংবাদিক মহিউদ্দিন তালুকদার যৌথ দু’জন মিলে  কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার এর বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা অপপ্রচার করে সামাজিক মাধ্যমে ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে হয়রানি করার চক্রান্তে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

১৩ জুলাই রবিবার দুপুরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে গিয়ে কথা বলে জানা যায়- ২জুলাই সকালে কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল হোল্ডিং প্লেইট এর শুভ উদ্বোধন করতে জান কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার।

সেই দিন সেখানে ইউনিয়নের কিছু ব্যক্তি ও ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন আমরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হয়েও ঠিক মতো বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে পারছি না, কাজ করতে চাইলেই অপরিচিত লেবাসধারী মহিউদ্দিন তালুকদার ও রুবি সাংবাদিক নেত্রকোনা’র কিছু টাকা চাঁদা দাবি করে, টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে, এবং লিখবে বলে হুমকি দেন।
সেখানে গিয়ে আরও জানা যায়- ৭,৮,৯নং আসনের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোছাঃ মন্জুরা আক্তার সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য তাদের যোগসাজসে সাবেক চেয়ারম্যান সোহাগের নির্দেশনায় (সাংবাদিক) তাদেরকে এনে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
সেই দিন ২জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার তিনি বলেছিলেন- আপনারা আপনাদের মতো কাজ করে যান,আপনাদের পাশে আমি আছি। কাজ করতে গিয়ে যদি আপনাদের কাছে কেউ চাঁদা দাবি করে তাহলে তাঁকে আপনারা বেঁধে রেখে আমাকে খবর দিবেন আমি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহন করবো।
​৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত ইউপি সদস্য সুইটি আক্তার লাকী,১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা ইউপি সদস্য জেসমিন আক্তার, ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু হানিফ, ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আনিসুল হক, ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ কাঞ্চন মিয়া বলেন- ২জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল হোল্ডিং প্লেইট এর শুভ উদ্বোধন করতে এসে কোন ধরনের নেতা বা সাংবাদিকদের উপর কোন ধরনের খারাপ কথা বা খারাপ আচরণ করেননি। মহিউদ্দিন তালুকদার সাংবাদিক ইউএনও স্যারকে এমনিতেই হয়রানি করার চেষ্টা করছে। স্যার খুব ভালো মানুষ।
তারা আরও বলেন- ৭,৮,৯ সংরক্ষিত মহিলা  আসনের ইউপি সদস্য মোছাঃ মন্জুরা আক্তার কয়েকদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এর বিরুদ্ধে জোর পূর্বক চেক তুলে নেওয়ার অভিযোগ দিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তদন্ত ভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এর উপর।

ইউনিয়ন পরিষদ সচিব বলেন- গত ২তাং স্যার আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে আসছিল, সেখানে স্যার উদ্বোধক ছিলেন। ডিজিটাল হোল্ডিং প্লেইট উদ্বোধন করে ইউনিয়নের সকল বিষয় খুঁজখবর নেন,আমাদের স্টাফদের খুঁজখবর নিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন, কারও বিষয় কোন ধরনের খারাপ আচরণ বা খারাপ কথা বলেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন- আমি ২জুলাই গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল হোল্ডিং প্লেইট উদ্বোধন করতে গিয়ে সকল ইউপি সদস্য ও সচিবকে নিয়ে মতবিনিময় করে তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তাদের বলেছি যদি কোন প্রকল্পের কাজে কোন মহল চাঁদা দাবি করে তাহলে তাদেরকে আটকে রেখে আমাকে খবর দিবেন আমি (চাঁদাবাজ) তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো।
এবং ইউপি সদস্য সবাইকে আশ্বস্ত করে এলাম আমি যতদিন আছি তাদের পাশে থাকবো।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন- ইউপি সদস্য মোছাঃ মঞ্জুরা আক্তার আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে এবং আমার কার্যালয়ে বসে আমাকে রুবির হুমকী দিয়েছে এবং সেখানে বসেই রুবি ও মহিউদ্দিন’কে কল দিয়ে উচ্চস্বরে নালিশ দিয়েছিলেন।
তথ্য পাচারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তের অংশ হিসেবে স্বপন মেম্বার ও মঞ্জুরার মোবাইল ফোন চেক করতে চাইলে স্বপন মেম্বার ফোন দিলেও মঞ্জুরা আক্তার অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেন।
এইসবের প্রত্যক্ষ্য সাক্ষী সকল মেম্বার, প্রশাসক, এস আই কামাল, ওসি ও তার সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স যার ভিডিও ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে বলে জোর দাবি জানান ইউএনও।