কেন্দুয়ায় স্কুল ছাত্রী সাদিয়াকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টারঃ

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় নুরেচা দুখিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শ্রেনীর ছাত্রী সাদিয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় উক্ত বিদ্যালয়ের মাঠে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক,এর পরপরই তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

৬ মে মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৯নং নওপাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্য বাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নুরেচা দুখিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সাদিয়াকে রাতে স্কুলের রুমে পড়ানোর নামে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। এর পরপরই কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমদাদুল হক তালুকদার ও সহকারী কমিশনার ভূমি ইশরাত জাহান নিপা স্কুলে এসে তদন্ত শুরু করেছেন।
সংগে ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও কেন্দুয়া থানা তদন্ত কর্মকর্তা উমর কাইয়ুম।
সরেজমিনে এসে জানা যায়- ৫ মে সোমবার রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৯নং নওপাড়া ইউনিয়নের নুরেচা দুঃখের গাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতর রাত আট ঘটিকার সময় উক্ত স্কুলের সহকারী শিক্ষক সাইকুল ইসলাম ওরফে চান মিয়া চারজন শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন পড়ানোর কথা বলে একজন শিক্ষার্থী সাদিয়াকে তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাসরুমে খাতা দেওয়ার জন্য কথা বলে জোর পূর্বক ধর্ষন করার জন্য শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়,পড়নের পায়জামা খোলার জন্য চেষ্টা করলে চিৎকার চেচামেচি করলে অন্য রুমের শিক্ষার্থীরা এসে দেখে পেলে,তাৎক্ষণিক জোর পূর্বক সহকারী শিক্ষককে টেলা দিয়ে চলে যায় সাদিয়া।
৫ শ্রেনীর শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গিয়ে তার নানীর কাছে বললে উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ঘটনা স্থলে পরিবারের লোকজন চেচামেচি শুরু করলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের গেইটে থালা লাগিয়ে দিয়ে বসে থাকে। অনুমান রাত ৯.৩০ ঘটিকায় মেয়ে সহ পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে ভিক্টিম নিজে ভিডিও বক্তব্য রাখেন এবং অভিযোগ দাখিল করেন। রাত ২ ঘটিকার সময় পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে জিগ্যেসাবাদ করেন।
উক্ত ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

এই বিষয় সহকারী শিক্ষক সাইকুল ইসলাম চান মিয়া বলেন- আমি রাতে চারজন শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন দেখিয়ে দেওয়ার জন্য বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলের রুমে ডেকে নেই, এবং প্রশ্ন দেখানোর চেষ্টা করি,পরে সাদিয়ার ঘুম ধরলে একটা গালে চর দেই,চর খেয়ে কান্না করিলে তার পিটে সন্তান হিসেবে আদর করি,তা না মেনে তখন সে রাগে বশবতী হয়ে বাড়ী চলে গিয়ে তার নানীর কাছে বললে রাতে গিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। আমি
ধর্ষণের চেষ্টা করিনি,আমার বিরুদ্ধে এমনিতেই কথা তুলেছেন।

এই বিষয় প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন-এই প্রতিষ্ঠানটি কেন্দুয়া উপজেলার একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান,উপজেলা, জেলা ও বিভাগ থেকে অনেক পুরষ্কার জিতে এনেছি, গতকালের এই ঘটনাটি খুব দুঃখজনক, সহকারী শিক্ষক মোঃ সাইকুল ইসলাম চান মিয়া করে থাকে তাহলে
তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা হোক।

থানা তদন্ত কর্মকর্তা উমর কাইয়ুম বলেন- আমি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করা হবে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন- আমরা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত শুরু করেছি,তদন্ত করতে আরও সময় প্রয়োজন,স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না,যদি সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রমান মেলে তার বিরুদ্ধে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করবো।