কানাইঘাটে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজার ঘর দখলের অভিযোগ

সালিশ অমান্য, ঘর-মিটার ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকি | প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

রাব্বি হাসনাত
কানাইঘাট

সিলেটের কানাইঘাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বায়মপুর গ্রামে আপন চাচার বিরুদ্ধে বসতভিটা জবরদখল, ঘর ভাঙচুর এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলেছেন ভাতিজা ফয়েজ আহমদ। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী ফয়েজ আহমদ (৪৫), মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে, লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন—চাচা হাফিজ আনোয়ার হোসেন ওরফে সমর আলী (৭০) তাঁদের পারিবারিক সম্পত্তির বড় অংশ দখল করে এককভাবে ভোগ করছেন। পিতার মৃত্যুর পর মৌখিকভাবে ভাগ হওয়া জমি তিনি ভোগদখল করছিলেন। কিন্তু রাজধানী ঢাকায় চাকরির কারণে ফয়েজ ও তাঁর বড় ভাই মাওলানা জাকারিয়া হুসাইন (বর্তমানে বড়লেখায় অবস্থানরত) বাড়িতে অনুপস্থিত থাকায় এই সুযোগে চাচা সমর আলী সম্পত্তি জবরদখল করেন।

ফয়েজ আহমদের অভিযোগ, ২০২৫ সালের ১ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর অনুপস্থিতিতে চাচা সমর আলী জোরপূর্বক বসতঘরের দক্ষিণ পাশে থাকা টিনের চাল ও বৈদ্যুতিক মিটার ভেঙে সেখানে নিজের ঘর নির্মাণ করেন। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। পরে ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে বাড়ি ফিরে তিনি দেখতে পান, টিন ও মিটার ভাঙা, ঘরের ভেতরে পানি পড়ে ল্যাপটপসহ মূল্যবান ফার্নিচার নষ্ট হয়ে গেছে। মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।

ফয়েজ আরও জানান, তারা চাচাকে একাধিকবার বলেন যেন সার্ভেয়ার দ্বারা সুষ্ঠুভাবে ভাগ করে ঘর নির্মাণ করেন, কিন্তু তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিকবার সালিশ বসলেও অভিযুক্ত সমর আলী তা উপেক্ষা করে একতরফাভাবে বাড়ির অধিকাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমর আলীর বড় ভাই ইলিয়াস আলী (৮০), ফজলুর রহমান চৌধুরী (৬৭), ফয়েজ আহমদ (৬০), বাবুল মিয়া (৫৫), একলিম উদ্দিন (৬০), শফিক আহমদ (৬০), ফরিদ মিয়া (৭০) ও আলী আহমদ (৪৫) সহ আরও অনেকে। তবে তাদের মতামতকেও সম্মান জানাননি অভিযুক্ত ব্যক্তি ।

ফয়েজ আহমদ আরও অভিযোগ করেন, চাচা সমর আলী তাঁর সাথে বিরোধে ফারুক আহমদ (৪০) ও সাহিদ আহমদ ওরফে বকুল (৩৪)-কে সহযোগী হিসেবে নিয়োগ করেন। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে।

তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত সমর আলী নানা রকম হুমকি দিচ্ছেন এবং মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।