এনসিএলে টানা দুই হার সিলেটের, ১ রানে জিতেছে খুলনা
কুয়াশার কারণে দেরিতে শুরু হওয়ায় ১৫ ওভার খেলা হয় সিলেট-চট্টগ্রামর ম্যাচ। সাত মাস পর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট ফিরে গতকাল রান না পেলেও বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ৩৩ বলে খেলা ৬৫ রানের ইনিংস চট্টগ্রামকে ১৪৫ রান এনে দেয়। ৮ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসে তামিমের স্ট্রাইক রেট ১৯৬.৯৭। তামিমের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসানের। সিলেটের পেসার খালেদ আহমেদ ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।
রান তাড়ায় ১৪.২ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট হয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারে সিলেট চট্টগ্রামকে প্রথম জয় উপহার দিয়েছে। সিলেটের হয়ে যা করার করেছেন তৌফিক খান। ৩৬ বলেই ৬ ছক্কায় ৭৬ রান করেছেন এই ওপেনার। আগের ম্যাচে ৫২ বলে সেঞ্চুরি করা জিশান আলম আজ ফিরেছেন মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই।
অপর ম্যাচে ১৩১ রানের লক্ষ্যে ১৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান তুলে শেষ ওভারটা শুরু করে বরিশাল। জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আজ খুলনার মেহেদী হাসান রানার করা ওভারের প্রথম ৩ বলে ৬ রান তুলে নেন বরিশালের কামরুল ইসলাম ও মঈন খান। সমীকরণটা তখন ৩ বলে ৩ রানের। কিন্তু এরপর যা হলো সেটির কোনো ব্যাখ্যা নেই।
ওই ৩ রান আর নিতে পারেনি বরিশাল। এরপর ৩ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে হেরেছে ১ রানে। কামরুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম ও রুয়েল মিয়া- বরিশালের তিন ব্যাটসম্যানই হলেন রানআউট। তিন রানআউটেই অবদান ছিল খুলনার অধিনায়ক নুরুল হাসানের। মেহেদী রানা মাঝে ১টি ওয়াইড দেওয়াতেই রানআউটের হ্যাটট্রিক হয়নি।
৯ উইকেটে ১২৯ রান তুলে ১ রানে হারা বরিশাল ৬ রানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট। এরপর ওপেনার আবদুল মজিদ (৫৩ বলে ৫১) মঈন খানকে (২৭ বলে অপরাজিত ৪৩) নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৪৭ রান যোগ তরেন। ১৯তম ওভারে মজিদ ফেরার পর শেষ ওভারে রানআউটের ওই মচ্ছব।
এর আগে খুলনা ১৩০ করে ৯ উইকেট হারিয়ে। ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন নুরুল। বরিশালের পেসার কামরুল ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পেল খুলনা, বরিশাল হারল দুই ম্যাচেই।