ঈদের আগে সামান্য বিরোধে উত্তেজনা: মদনের মতিয়াখালি বাজারে হামলা, উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় শান্তিপূর্ণ সমাধান

মো: রাসেল আহম্মেদ


মদন (নেত্রকোনা):
নেত্রকোনার মদন উপজেলার ৮ নং ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসহিলা ও বনতিয়শ্রী গ্রামের মধ্যে ঈদ উপলক্ষে পূর্বপরিচিত সামান্য একটি কথাকাটাকাটির জেরে বিরোধ দেখা দেয়। দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে যখন দেওসহিলার কিছু লোকজন স্থানীয় মতিয়াখালি বাজারে ব্যবসায়ী মোঃ খাইরুল মিয়ার দোকানে হামলা চালায়।

এ হামলার ঘটনায় বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং ব্যবসায়ী মহলসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। ঘটনাটি নিন্দনীয় বলে মনে করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি মীমাংসা বৈঠকের আয়োজন করেন।

🧾 মীমাংসা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন:

জনাব নুরুল আমিন তালুকদার, সভাপতি, মদন উপজেলা বিএনপি ও চেয়ারম্যান, চানগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ

জনাব রফিকুল ইসলাম আকুন্দ, সাধারণ সম্পাদক, মদন উপজেলা বিএনপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান

জনাব সাইফুল ইসলাম সেকুল, আহ্বায়ক, মদন উপজেলা বিএনপি

জনাব হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক, মদন উপজেলা যুবদল

জনাব সামিউল হায়দার সফি, চেয়ারম্যান, ৮ নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ

জনাব রহিস তালুকদার, সভাপতি, ইউনিয়ন বিএনপি

জনাব বাদল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন বিএনপি

জনাব বাবুল তালুকদার, সভাপতি, ইউনিয়ন কৃষক দল

এডভোকেট এজাজ তালুকদার চন্দন, বিএনপি নেতা

জনাব বাচ্চু চৌধুরী, বিএনপি নেতা

জনাব নাজির আহমেদ উলাশ, সাবেক মেম্বার

জনাব নিজামউদ্দিন, সাবেক মেম্বার ও বিএনপি নেতা

জনাব উজ্জল মিয়া, সভাপতি, মুতিয়াখালি বাজার কমিটি

জনাব অহিদুজ্জামান চৌধুরী, বিএনপির সিনিয়র নেতা

জনাব ফুয়াদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন যুবদল

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী সমাজ, সাধারণ জনগণ ও গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ

📣 নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত:

নেতৃবৃন্দ বলেন,

“এই হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অনভিপ্রেত। ঈদের মতো পবিত্র সময়ে এমন বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ভবিষ্যতে যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটায়, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

তারা আরও জানান,

“এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে, ভবিষ্যতে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে নগদ ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর বিচার কার্যক্রম চালানো হবে।”

উভয় পক্ষের মতৈক্যে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে উপনীত হওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দও আহ্বান জানান, সবাই যেন সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করে, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়িয়ে চলে এবং সহনশীল আচরণ করে।