অসহায় দুস্থ নারীদের রাতে শাড়ি বিতরণ করেন কেন্দুয়ার ইউ এন ও ইমদাদুল হক তালুকদার ।


:লুৎফুর রহমান হৃদয়, ময়মনসিংহ বিভাগীয় ব্যুরোঃচিফ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসহায়, গরীর, দুস্থ নারীদের মাঝে বিতরনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কেন্দুয়া উপজেলায় ৮০০ শাড়ি বরাদ্দ এসেছিল।
এসব শাড়ির মধ্যে কেন্দুয়া পৌরসভায় ১৫০ পিস,এবং ১৩ ইউনিয়নে ৫০ টি করে ৬৫০ শাড়ি বিতরন করা হয়েছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার ইউপি চেয়ারম্যান,প্রশাসক ও মেম্বারদের কঠোর নির্দেশ দেন,যাতে শাড়ি প্রকৃত গরীব,অসহায় নারীরা পান।
সেই নির্দেশ মোতাবেক৷ স্বাম্ব্যাব্যঅসহায় ও গরীর নারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাড়ি বিতরন করা হয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলার ১১ নং চিরাং ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের শিক্ষক নভেল তার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমেন্টস করে বলেছেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে উপস্থিত হয়ে গ্রামের উত্তরপাড়া অসহায় নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরন করেছেন।

মাসকা ইউনিযনের প্রশাসক এল জি ইডির প্রকৌশলী আল- আমীন সরকার বলেন,আমার ইউনিয়নে যে শাড়ি পেয়েছিলাম তা ২৫ মার্চ রাতে মেম্বারদের নিয়ে তিনটি স্পটে বিতরন করা হয়েছে।অসহায় নারীরা শাড়ি পেয়ে খুব খুশী।

আশুজিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইউনুস রহমান রনি বলেন,রাতে সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মাহমুদুল হাসান,দলপা ইউনিয়নের প্রশাসক সাহেবকে নিয়ে অসহায় নারীদের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে।তারা শাড়ি পেয়ে খুব খুশী।

মোজাফরপুর ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন আশ্রয়ন প্রকল্পের দুস্থ নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরন করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান, নওপাড়া ইউনিউয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সারোজাহান ক্উসার বলেন,এবার শাড়ির মান এতো ভালো নারীরা শাড়ি হাতে পেয়ে অবাক হয়েছে।সত্যিকারের অসহায় নারীরাই শাড়ি পেয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন,আমি নিজে রাতে গিয়ে গরীব মানুষের বাড়ি বাড়ি শাড়ি বিতরন করেছি।
খোঁজ খবর নিয়েছি সব ইউনিয়নেই সুন্দরভাবে বিতরন করা হয়েছে।গরীব অসহায় দুস্থরাই শাড়ি পেয়েছেন।