বড়াইগ্রামে সন্তান কর্তৃক মাকে রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে হত্যা চেষ্টা

IMG-20250619-WA0035

নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় আপন ছেলে কর্তৃক মাকে হাত-পা বেঁধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ১৮ই জুন বুধবার উপজেলার নগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছেলের নাম মোঃ রনি। সে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বাক্ষীদের জবানবন্দিতে জানা যায় বুধবার আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকার সময় অভিযুক্ত রনি তার মা মোছাম্মদ রেহানা বেগম ওরফে রিনা কে গরুর রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে তার স্ত্রী জান্নাতুল,পিতা আব্দুর রাজ্জাক ও কাকা মিন্টু হোসেন।রাজ্জাক ও মিন্টু মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।

অভিযোগ কারীর কাছ থেকে জানা যায় বুধবার দুপুরে বাড়িতে মাংস রান্না করে ছেলেকে না দেওয়ার অপরাধে এই ঘটনা ঘটায়। রেহানা বলেন , ছেলে বিয়ে করার পর থেকেই আলাদা খায়। নানা সময় আমাকে নানা অজুহাতে নির্যাতন করে । এই কারণে আমি মাংস রান্না করে তাদেরকে না দিলে আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যা করার জন্য গরুর রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারতে থাকে।

একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে জিয়ারুল বলেন আমি বাড়ির ভিতরে চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি রনি তার মাকে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করছে। সাথে রনির স্ত্রী জান্নাতুল ও পিতা আব্দুর রাজ্জাক সহযোগিতা করছে। আমি নিজ হাতে তার হাত-পায়ের বাঁধন খুলে তাকে উদ্ধার করি এবং পার্শ্ববর্তী তার বোন রেখা খাতুন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বড়াইগ্রাম উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করি। 

বর্তমানে অভিযোগকারী বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মারধরের কারণে তার ডান চোখ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসা শেষে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।

এই ধরনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মানুষের ভিতরে চাপা ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী বলেন আমরা অভিযুক্ত ছেলেকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস্ ওয়ার্ল্ড নাটোর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব ওসমান গনি বলেন “ছেলে কর্তৃক মাকে নির্যাতন অত্যন্ত জঘন্য ও নিন্দনীয় কাজ। এইটা এক ধরনের মানবাধিকার লংঘন ও সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিফলন। আমি একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন দ্রুত অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়”।